আজ || শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে আনসার বাহিনীর ধানের চারা বিতরণ       ফেনী ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের মুটিং সোসাইটির উদ্যোগে মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্ট অনুষ্ঠিত       ফেনীতে দলীয় কোন্দল, নেতা-কর্মীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে জেলা বিএনপি       ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে সেনাবাহিনী যা যা করতে পারবে       ৬০ দিনের জন্য সারাদেশে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী       ফেনীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, দুই সংবাদকর্মী সহ আহত ১২       ১৪ দিনে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি টাকা       কুমিল্লা ও ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে আনসার মহাপরিচালকের আমন ধানের চারা বিতরণ       বাহরাইনে দেশীয় সংস্কৃতিতে বিয়ে, উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা বাংলাদেশিরা!       রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেন মুনছুর ভূইয়া    
 


ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় মধ্যরাতে বিধবার ঘরে মেম্বার! ভোর গড়াতেই বিয়ে

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় মধ্যরাতে বিধবার ঘরে মেম্বার! ভোর গড়াতেই বিয়ে

মধ্যরাতে এক বিধবা নারীর ঘর থেকে এক মেম্বারকে আটক করেছে এলাকাবাসী। রাতে ওই ঘরে মেম্বারে উপস্থিতি টের পেয়ে ঘরেরে বাইরে থেকে তালা মেরে দেয় স্থানীয়রা। পরে তাদের নিয়ে বসে সালিস। সেই সালিসে দুজনই বিয়েতে সম্মতি দিলে তাদের বিয়ে পড়ানো হয়। ঘটনা শুনে পুলিশ আসার আগেই বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। পরে পুলিশ ফিরে যায় থানায়। আর বিয়ে করে মেম্বার ওই নারীকে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। রবিবার (২ মে) সকাল ৭টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের বালিহাটা গ্রামে এ বিয়ে পড়ানো হয়। অভিযুক্ত মো. সাইফুল ইসলাম উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ইউপি সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম চার সন্তানের জনক। গত শনিবার গভীর রাতে তিনি তাঁর ওয়ার্ডের এক নারীর ঘরে প্রবেশ করেন। ওই নারীর স্বামী প্রায় পাঁচ বছর আগে মারা গেলেও তার দুটি সন্তান রয়েছে। এ অবস্থায় রাত ১২টার পর এলাকার লোকজন ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে মেম্বার সাইফুল ইসলামসহ নারীকে ঘরে আটকে রাখে।

এলাকাবাসী থেকে ঘটনার খবর পায় ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ। এক পর্যায়ে উপপরিদর্শক মো. রেজাউল করিম রাত ১টার দিকে তাদের থানায় নিয়ে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু সালিসকারীরা তাকে বাঁধা দেয়। রাতভর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ওই নারী রাজী থাকলে মেম্বার সাইফুল ইসলাম তাকে বিয়ে করবেন। পরে আজ রবিবার সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় কাজী ডেকে এনে সাড়ে তিন লাখ টাকার দেনমোহর ধার্য্য করে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। বিয়ের প বিধবা নারীকে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন মেম্বার সাইফুল।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত নয়ন মিয়া বলেন, অনেক লোকজনের সামনে ওই নারী জানিয়েছেন- বিধবা ভাতার কার্ড দিবে বলে তাঁর সাথে সর্ম্পক করে মেম্বার। এ অবস্থায় গত দুই বছর ধরে সর্ম্পক চলছে।

এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মো. রেজাউল করিম জানান, বিধবা ভাতার কার্ডের তথ্য নিতে আজ রাতে আসছিলেন মেম্বার। এর আগেও এসেছেন। দুজনই তিনি বিয়ে করতে রাজী। বিয়ে করলে ওই নারী কোনো অভিযোগ করবেন না। এ অবস্থায় দুজনকে রেখেই চলে এসেছেন।

বিয়ের কাজী মাহববুব জানান, তাকে সকালে ডেকে আনা হয়েছে। পরে এসে জানতে পারেন দুজনকে বিয়ে পড়াতে হবে। এ অবস্থায় দুজনের সম্মতিতেই বিয়ে পড়ানো হয়। মেম্বারের প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে কাজী বলেন, এটা একটা খসড়া করেছি। মেম্বার বলেছেন আগামি ২/৩ দিনের মধ্যে তাঁর প্রথম স্ত্রীর অনুমতি এনে দেবেন। না দিলে রেজিস্ট্রি হবে না। এ ঘটনাটি জানতে সাইফুল মেম্বারের মোবাইল নম্বরে বেশ কয়েকবার ফোন দিলে ফোন ধরেন অন্য একজন। তিনি বলেন, ‘চাচা ফোন রাইখ্যা ঘুমাইছে।’

 


Top